উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি What causes high blood pressure
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি সেটা অনেকেই জানে না৷ উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। ডাক্তারদের মতে সুস্থ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অতি প্রয়োজন এটা করা। যদি আপনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম করার। এর ফলে আপনার হৃদযন্ত্র ভালো থাকবেন এবং আপনার রক্ত চলাচল সুন্দর থাকবে আর চাপ কবে যাবেন ধমনীর উপর।
আর যখনই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় পড়বেন তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করবেন শরীর ফিটনেস রাখার জন্য। মানুষের একমাত্র সম্পদ হলো শরীর, আর শরীর যদি ঠিক না থাকে তাহলে আপনি যেকোন ধরনের পরিশ্রম করতে পারবেন না। তাই শরীরকে ঠিক রাখতে ভাল মন্দ খাবার সেবন করতে হবে। ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ আছে এবং খাবার খেতে হবে। এর পাশাপাশি শরীর ফিটনেস রাখার জন্য কাজ কর্ম করতে হবে।
তাৎক্ষনিক উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ
তাৎক্ষনিক উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ বিশেষ করে রাখে খেলে ভাল হয়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে সবথেকে বেশি ফলাফল পাওয়া যায় উচ্চ রক্তচাপ রাতে ওষুধ সেবন করলে। রাতে ওষুধ সেবনের ফলে মানুষের হার্ট অ্যাটাক এর সমস্যা কমে আসে এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যুর হারও কমে আসে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই যখনই আপনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং এর পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। শুধু ওষুধ খেলে আপনার শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন না এর জন্য আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায় হল পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি করে খাওয়া পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে কিসমিস, কলা, পালংশাক, বিনস ইত্যাদি। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে চাইলে অবশ্যই আপনার খাবার তালিকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং বেশি বেশি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখতে হবে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে এমন খাবার। প্রতিদিন সকালে কিসমিস খাবেন। কিসমিস খাওয়ার জন্য আপনাকে রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে হবে। কিশমিশের পানি লিভারের জন্য অনেক উপকারী। তাই দুটোই সেবন করবেন এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কলা ও পালঙ্কের বেশি করে খাবেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু অনেক উপকারী কারণ এই লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এর পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আরো রয়েছে যেমন কলা, জাম্বুরা ইত্যাদ। এই সমস্ত ফল যদি আপনি সেবন করেন তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। এইগুলাতে থাকা ভিটামিন,খনিজ, সবকিছু একসাথে মিলিত হয়ে আপনার হৃদরোগের ঝুকিঁ কমিয়ে আনবে এবং আপনার হাঁর্টতে যথাযথভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। যখনই আপনার উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিবে তখন লেবুকে পানির সাথে মিশিয়ে শরবত হিসেবে সেবন করবেন এবং এর পাশাপাশি বেশি করে কমলা খাবেন নিয়মিত। প্রাকৃতিক এই ফলগুলো সেবন করলে কিছুদিনের মধ্যে আপনার উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে৷
উচ্চ রক্তচাপ কি
উচ্চ রক্তচাপ কি সেটা অনেক জন জানে না৷ উচ্চ রক্তচাপ হলো মানুষের স্বাভাবিক রক্তের চাপের চেয়ে তার উর্ধে থাকার নাম। উচ্চ রক্তচাপ এটির ফলে মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে এবং হার্ট অ্যাটাক এর ফলে মৃত্যুবরণ করতে পারো। উচ্চ রক্তচাপ আরেক নাম ইংরেজিতে Hypertension। উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত অল্প মানুষের হয়ে থাকে। তবে এটা একটি ভয়ংকর রোগ যে মানুষটি আক্রান্ত করেছে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ব্যায়াম
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ব্যায়াম এর মধ্যে রয়েছে জগিং করা, হাট, সাইকেল চালানো ইত্যাদি। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। যদি একসাথে আপনি ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে না পারেন তাহলে দিনে তিনবার করে ১০ মিনিট করে করে সর্বমোট ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ব্যায়াম। সাধারণত ডাক্তাররা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সকালে উঠে জগিং করতে বলেন। এর কারনে আপনার শরীর ফিটনেস থাকবে এমন শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর করবেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত রয়েছে জাম্বুরা, কলা, কমলালেবু এবং পাতিলেবু ইত্যাদি। এই সমস্ত খাবার এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি , আপনার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। সাধারণত যখন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের কাছে যান তখন ডাক্তার ওষুধ খাওয়া এবং ব্যায়াম করা এর পাশাপাশি এই ফলগুলো খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার হিসাবে এই খাবারগুলো আদিমকাল থেকে সকলের কাছে পরিচিত। তৎকালীন সময়ে যখন মানুষ ওষুধ সেবন করতে পারতেন না তখন প্রাকৃতিক এই ফল খেয়ে রোগের নিরাময় করতেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি হলো ব্যায়াম করা। আপনার শরীরের সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে একমাত্র ব্যায়াম করা সর্বোত্তম পদ্ধতি। এটি করতে আপনার কোন টাকা-পয়সা খরচ হবে না। শুধুমাত্র আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করে আপনি আপনার শরীর থেকে শুধু উচ্চরক্তচাপ নয় এর পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ব্যায়াম করলে আপনার শরীর ফিটনেস থাকবে এবং কাজে মন বসবে, সমস্ত রকমের কাজ করতে পারবেন। আপনার শরীর দুর্বল হবে না এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। বেশি বেশি খাবার সেবন করতে পারবেন বলতে গেলে আপনার জীবনে অনেক উপকার করে থাকে।
আপনার শরীর সুস্থ রাখতে এবং সমস্ত রকমের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক দিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। শুধু উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলে ব্যায়াম করতে হয় এটা নয়৷ আপনি যেকোনো কাজের জন্য করতে পারবেন। আপনার শারীরিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য এবং আপনার হৃদযন্ত্র ভালো রাখার জন্য আপনি ব্যায়ামকে একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন। ব্যায়াম করলে প্রতিদিন আপনার রক্ত প্রবাহ বেড়ে যাবে এবং চাপ কমে যাবে ধমনির উপর। তাই ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শরীরকে পরিচালনা করুন এবং সুন্দর জীবন যাপন করুন।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ অনেকগুলা রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ হলো, আপনি মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন, কানের মধ্যে শব্দ হওয়া হঠাৎ কর, রাতে ঘুম না হওয়, নিজের অস্থির লাগে, শরীর কাঁপতে থাকা, অল্পতেই রাগ ওটে, বমি বমি ভাব এবং মাঝে মাঝে বমি হওয়া, দাঁত ব্যথা করা, ঘাট ব্যাথা করা, মাথা ঘুরানো, মাথা গরম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। যদি আপনার মাঝে এই সমস্ত লক্ষণ দেখা যায় তাহলে মনে করবেন আপনি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় আপনার করণীয় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজন অনুযায়ী মেডিসিন সেবন করা এবং এর পাশাপাশি শারীরিকভাবে ব্যায়াম করা।
বন্ধুরা আশা করে আমারে আর্টিকেলটা আপনার উপকারে আসবে এবং আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আশা করি আমি এই আর্টিকেলের মধ্যে দিতে পেরেছি। যদি এই আর্টিকেলটা আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার সকল বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য জানাবেন। ধন্যবাদ